যাযাদি ডেস্ক
পাকিস্তানের কাছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হারার পর সমীকরণের মারপ্যাঁচে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতির দল নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং থাইল্যান্ডের ম্যাচের ওপর।
থাইল্যান্ড ১৬৬ রানে অলআউট হলে সমীকরণ দাঁড়ায় ১০ ওভারে জিততে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। আরেকটা সমীকরণ ছিল, স্কোর সমান করার পর চার মেরে জিতলে ১০.৪ ওভারে জিতলে হবে। আর স্কোর সমান হওয়ার পর ছক্কা মেরে জিতলে ১১ ওভারে জয় পেলেও বিশ্বকাপে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই লক্ষ্যপূরণের একদম কাছে গিয়েও পারেনি ক্যারিবীয়রা। ছক্কা মেরেই তারা ম্যাচ শেষ করেছে। জিতেছে ১০.৫ ওভারে। কিন্তু সমীকরণ মেলানোর জন্য ম্যাচে স্কোর সমান করে চার বা ছক্কা মারার যে হিসাব ছিল, সেটি মেলাতে পারেনি।
ফলে রানরেটে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিশ্বকাপে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেট ছিল (-০.২৮৬), বাংলাদেশের (০.৬৩৯) থেকে কম।
১০.৫ ওভারে ১৬৬ রান তাড়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানরেট দাঁড়িয়েছে ০.৬২৬, বাংলাদেশের (০.৬৩৯) থেকে যা একটু কম।
ফলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে বাংলাদেশ। মারকুটে ব্যাটিংয়ে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৫ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ের পরও বিশ্বকাপ বাছাই থেকেই বিদায় হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে। আট দলের আসরে শেষ দল হিসেবে নাম লেখালো বাংলাদেশ।
বাছাইয়ের ছয় দলের মধ্যে পাকিস্তান প্রথম, বাংলাদেশ দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ৫ ম্যাচের সবকটি জিতে সবার আগে নাম লেখায় পাকিস্তান। বাকি ছিল বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে কে খেলবে, সেই হিসাব। যে হিসেবে বাংলাদেশের ভাগ্য খুলেছে, পুড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।