চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
স্বর্ণ চোরাচালানের ওয়ানওয়ে গেট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যেখান দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে একের পর এক আসছে স্বর্ণের চোরাচালান। এর মধ্যে ধরা পড়ছে কয়েকটি চালানও। যার কিয়দংশ গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
প্রকাশিত কয়েকটি চালান স্টাডি করে দেখা যায়, স্বর্ণের চালান ধরা পড়লেও ধরা পড়ে না চালানের বাহক। যা কারসাজির খেলায় ধামাচাপা পড়ছে। আর এই খেলায় মত্ত খোদ কাস্টমস কর্মকর্তারা। এমন তথ্য উঠে এসেছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালক দপ্তরের নথিপত্রে।
মঙ্গলবার (৮ এপৃল) সকালে মুঠোফোনে আলাপে এমন তথ্যের কথা জানান চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল। তিনি বলেন, গত চার মাসে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে একের পর এক স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পদে। কিন্তু ধরা পড়েনি বাহকরা। নানা কারসাজি করে বাহকদের ছাড়া পাওয়ার সুযোগ করে দেয় কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ নিয়ে বাহকের সাথে প্রকাশ্যে দরকষাকষির খেলায় মেতে উঠেন তারা।
গত বছর ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালকের দপ্তর থেকে কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এয়ারপোর্ট ও এয়ারফ্রেইট ইউনিটের উপকমিশনারকে দেওয়া বিমানবন্দর পরিচালক দপ্তরের সেই চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টমস সদস্যরা সরাসরি চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছেন। যদিও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সেই চিঠিকে আমলেই নেয়নি।
তবে এর তিন মাস আগে ছয়টি স্বর্ণের বার চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা কে এম এম সালেমকে শুধু ঢাকায় বদলি করা হয়েছিল। আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রী ওই কাস্টমস কর্মকর্তার হাতে স্বর্ণের বারগুলো তুলে দিয়েছিলেন। সেগুলো একটি চোরাচালান চক্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
কেস স্টাডি -১ :
নথিপত্রের তথ্যমতে, গত সোমবার (৭ এপৃল) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৯১০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের ধরা পড়ে। কিন্তু চোরাচালানের বাহক মো. মকসুদ আহমদকে আটকের পরও ছেড়ে দেয় বিমানবন্দর কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, অভিযুক্ত যাত্রী মকসুদ আহমেদকে আটক রেখে দীর্ঘক্ষণ দরকষাকষি চলে। পরে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দোভাষী পাড়ার বাসিন্দা আবদুল খালেকের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৭টায় মকসুদ আহমেদ এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নামেন। গতিবিধি সন্দেহ হলে তার সঙ্গে থাকা লাগেজ তল্লাশি করা হয়। এ সময় হাতঘড়ির চেইন আকারে, মোবাইল এডাপ্টারের ভেতর ও এয়ারপডের ভেতর থেকে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন সাইজের স্বর্ণ পাওয়া যায়। নানা উপায়ে আনা প্রায় ৯১০ গ্রাম ওজনের ২৪ ও ২২ ক্যারেটের স্বর্ণগুলো আগুনের তাপে গলিয়ে জব্দ করা হয়। এমনকি ওই স্বর্ণ জব্দ তালিকায়ও নেই।
ওইদিন বিমানবন্দর কাস্টমসের জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়, ঘোষণা দিয়ে আনা স্বর্ণগুলোর মধ্যে রয়েছে ২১৫ গ্রাম ওজনের ১৬ পিস ডলফিনের মতো লকেট, ১২৮ গ্রাম ওজনের ৭৮ পিস তারকার মতো লকেট, ৪৬০ গ্রাম ওজনের ৩০ পিস বার, ৮০ গ্রাম ওজনের ৪ পিস চুড়ি, ২০ গ্রাম ওজনের ২ পিস আংটি, ৭ গ্রাম ওজনের চেইন। ঘোষণার বাইরে থাকা ৯১০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ তালিকায় দেখানো হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত যাত্রী মকসুদ আহমদ। এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তার সঙ্গে অনেকটা প্রকাশ্যেই দরকষাকষি শুরু করেন। এ সময় বিমানবন্দরে কর্মরত কয়েকটি সংস্থা আপত্তি তুললেও শেষ পর্যন্ত বিশেষ সমঝোতার ভিত্তিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, অভিযুক্ত যাত্রী মকসুদ আহমদের আনা স্বর্ণগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য এক কোটি ৭ লাখ ৬১ হাজার ৬৬০ টাকা। বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে গলিয়ে যে উপায়ে ওই যাত্রী স্বর্ণ এনেছেন, ওই যাত্রী অভিজ্ঞ চোরাচালানি। এর চেয়ে অনেক কম স্বর্ণ আনলেও থানায় নিয়মিত ফৌজদারি মামলা করে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
কেস স্টাডি-২ :
গত ১২ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে আসা শাহিন আল-মামুন নামে এক ওমরাহ যাত্রীকে তল্লাশি করে ৪০০ গ্রাম ওজনের ১২টি ২২ ক্যারেট সোনার চুড়ি জব্দ করা হয়। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৩৬ ফ্লাইটে আসা ওই যাত্রীর কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা।
এ ঘটনায় তাকে আটক করা হলেও ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই তিনি নিজ জেলা রাঙামাটিতে ফিরে গিয়ে বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটে ফেসবুক লাইভে হাজির হন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাসিন্দা শাহিন আল-মামুন ছিলেন ওমরাহ হজের মোয়াল্লেম। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানালেও বিশেষ সমঝোতায় ওইদিনই শাহিন আল-মামুনকে ছেড়ে দেওয়া হয় গোপনে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শাহিন আল মামুন বলেন, আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ছোট বিষয়কে বড় করে হয়রানি করা হয়েছে। আমি যদি এসব নিয়ে কথা বলি, আবার ঝামেলায় পড়ব। আমাকে আটকই করা হয়নি। আমি সেদিন দুপুর ১২টায় বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গেছি। আমি ১২টি চুড়ি এনেছিলাম, যা চেক করা হয়েছে ২২ ক্যারেট না ২৫ ক্যারেট তা নির্ধারণের জন্য। আমি বিদেশে ১৫% ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে স্বর্ণগুলো এনেছি। এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা করেছে।
রাঙামাটির হোটেল গ্রান্ড মাস্টারের পরিচালক শাহিন আল-মামুন আরও বলেন, পরে কাস্টমস বিভাগ স্বর্ণগুলো ডিটেনশন মেমোর (ডিএম) করে কাস্টমস কমিশনার অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন আমাকে আবার ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে স্বর্ণ নিতে হবে। আমি আমার এক বড় ভাইকে দায়িত্ব দিয়ে সব কাগজ দিয়েছি, তিনি কাস্টমস অফিস থেকে স্বর্ণ ছাড়িয়ে আনবেন। কাস্টমস জানাবে কত টাকা জরিমানা ও শুল্ক দিতে হবে।
কেস স্টাডি-৩ :
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে অবৈধভাবে স্বর্ণ বহনের অভিযোগে অভিনেত্রী অনামিকা জুথীসহ দুই যাত্রীকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৭৩৩ গ্রাম চুড়ি, চেইন এবং হোয়াইট গোল্ডের চেইন সদৃশ স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম ও শুল্ক গোয়েন্দারা যৌথভাবে তাদের আটক করে। অভিনেত্রী অনামিকা জুথী স্কচটেপ দিয়ে হাতে চুড়ি আটকে এবং গলায় চেইন লুকিয়ে স্বর্ণ বহন করছিলেন। এছাড়া তারা কিছু স্বর্ণালংকার হাতব্যাগেও বহন করছিলেন। তবে যেহেতু তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী ছিলেন, এভিয়েশন আইন অনুযায়ী তাদের ঢাকা বিমানবন্দরের টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অনামিকা জুথী তার রাজধানীর উত্তরার বাসায় পৌঁছে তার চট্টগ্রামের বন্ধু তারেককে ফোন করে জানান, সংবাদমাধ্যম ও টিভিতে তাদের আটকের খবর প্রচারিত হলেও তা সঠিক নয়। তিনি দাবি করেন, স্বর্ণগুলোর ডিটেনশন মেমো (ডিএম) করা হয়েছে এবং শুল্ক পরিশোধের পর তা ফেরত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আটক অভিনেত্রী অনামিকা জুথীর বাড়ি ঢাকার মিরপুরে এবং তার সঙ্গে আটক যুবক রায়হান ইকবালের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে।
কেস স্টাডি-৪ :
গত বছরের ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৬৪ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার বারসহ জয়নুল আবেদীন শরীফ মিঠু নামে এক চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে আলাউদ্দিন নামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটযোগে আসা এক যাত্রীকেও আটক করা হয়। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা ডা. এম জেড এ শরীফ ২৭তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০১২ সাল থেকে তিনি বিমানবন্দরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত থাকলেও নিজেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন।
জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে আসা যাত্রী আলাউদ্দিন ইমিগ্রেশন দিয়ে বের হওয়ার সময় ডা. শরীফের অফিসে ঢুকে কিছুক্ষণ পরই বেরিয়ে যান। অল্প সময় পর ডা. জয়নুল আবেদীন শরীফ মিঠু তার অফিস থেকে বের হন। কাস্টমস কর্মকর্তারা এ সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং শরীর তল্লাশি করে ৪৬৪ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার বার পান, যার বাজারমূল্য ৪০ লাখ টাকা। এদিকে তাকে আটকের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের চার কর্মকর্তা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ছুটে গিয়ে ডা. শরীফকে তাদের জিম্মায় নেন। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
গত চার মাসে মামলা নেই একটিও:
গত চার মাসে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একের পর এক স্বর্ণের চোরাচালান জব্দের ঘটনা ঘটলেও কাস্টমস থেকে পতেঙ্গা থানা হয়ে কোনো মামলার নথি আদালতে আসেনি। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট আদালতের পুরো রেজিস্ট্রার পর্যাবেক্ষণ করেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তাহলে কি কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয়ে তথ্য গোপন করা হচ্ছে, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? বিষয়টিও রহস্যজনক। এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএমপি বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, গত ৪ মাসে পতেঙ্গা থানায় এ ধরনের কোনো মামলা আসেনি। গ্রেপ্তার হলে অবশ্য মামলা হতো, আটক সংক্রান্ত কোনো তথ্যও আমাদের কাছে নেই। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে কয়েকটি মামলা ছিলো থানায়।
এই পুলিশ কমিশনার বলেন, পতেঙ্গা থানা পুলিশ এ বিষয়ে দায়িত্বশীল। গত শুক্রবার (৪ এপৃল) দিবাগত গভীর রাতে বিমান বন্দর দিয়ে আনা দেড় কোটি টাকা দামের স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি সিগারেটসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন মামলা দায়ের করে তাদের চট্টগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পতেঙ্গা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. মোরশেদ আলম জানান, ব্যাগেজ বিধিমালা অনুযায়ী বিদেশফেরত একজন যাত্রী বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনার সুবিধা পান। এছাড়া ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিয়ে সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার আনা যায়। এর বাইরে হলে এবং বাহক আটক হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে গত চার মাসে এ সংক্রান্ত কোন মামলা কেন হয়নি তা বিমানবন্দরের কাস্টমস অফিসে বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিমানবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অনুরূপা দেবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ অপশনে খুদে বার্তা পাঠালেও কোনরকম সাড়া দেননি।