Jaijaidin

ফের গাজার ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের কথা বললেন ট্রাম্প

Shah Alam Soulav
3 Min Read

বিশেষ প্রতিনিধি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান চান এবং আশা করেন এটি শিগগিরই ঘটবে। সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এর সঙ্গে তিনি আগের মতো আরও একবার গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তরের কথা বললেন।

গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, আমি চাই যুদ্ধ থেমে যাক এবং আমি বিশ্বাস করি যুদ্ধ কিছুদিনের মধ্যে থেমে যাবে, তা খুব বেশি দূর হবে না।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ওই হামলায় প্রায় ১২শ জনের প্রাণ যায়। আর হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এরপর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা চালানো শুরু করে। সেই হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, হামাসের হাতে যারা জিম্মি, তাদের মুক্তির জন্য কাজ চলছে, তবে সব জিম্মির মুক্তি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়াবে।

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু তাদের বৈঠকের পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল আরেকটি (যুদ্ধবিরতি) চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। আমরা আশা করি এটি সফল হবে।

তিনি বলেন, আমরা সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে একইসঙ্গে আমরা গাজায় হামাসের শাসন শেষ করতে চাই যেন সেখানকার জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে এবং যেখানে ইচ্ছে যেতে পারে।

নেতানিয়াহু জানান, তিনি গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প তার শপথের পরপরই একাধিকবার গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবের ধারণা ছিল, যুক্তরাষ্ট্র গাজা অঞ্চলটি পরিচালনার জন্য নিয়ে নেবে। তবে এই প্রস্তাবটি বিশ্বজুড়ে তীব্রভাবে নিন্দিত হয়।

সোমবার ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো দেশের শান্তিরক্ষা বাহিনী গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা নিলে এটি ভালো বিষয় হবে। আবারো তিনি বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করা হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান একটি সম্ভাব্য পরমাণু চুক্তি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বৈঠকটি নিশ্চিত করেছেন, তবে তিনি বলেন যে পরোক্ষ আলোচনা হবে।

সোমবার ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনা খুব উচ্চ পর্যায়ে হবে এবং তিনি সতর্ক করে দেন, যদি কোনো চুক্তি না হয়, তবে ইরানের জন্য খুব বাজে হবে।

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বৈঠকে মার্কিন শুল্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *