Jaijaidin

যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের শুল্ক পর্যালোচনা করছে সরকার : প্রেস সচিব

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের শুল্ক কাঠামো পুনর্বিবেচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যের উপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের পর সরকারের পক্ষ থেকে তা পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর প্রযোজ্য শুল্কহার পর্যালোচনা করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্রুত শুল্ক যৌক্তিকীকরণের জন্য সম্ভাব্য বিকল্পগুলো খুঁজে বের করবে, যা এ বিষয়ে কার্যকর সমাধানের জন্য জরুরি।

পোস্টে আরও লিখেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করে আসছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চলমান আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে সব আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর বাইরে বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারসহ বেশ কিছু দেশের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

বুধবার (২ এপ্রিল) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে শুল্ক ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশি পণ্যে এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। ফলে নতুন শুল্ক আরোপের কারণে এখন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পরিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।

নতুন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শুল্ক কাঠামো আধুনিকীকরণ এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এই পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি, শিল্পখাত ও ভোক্তাপণ্যে শুল্ক কমানো বা পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে।

বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং রপ্তানি বাড়াতেই বাংলাদেশ এই পদক্ষেপ নিতে পারে। এছাড়া, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করতে উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি ও আলোচনা চলমান রয়েছে।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *