Jaijaidin

অক্সফোর্ডের অনারারি ফেলো হলেন প্রধান বিচারপতি

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে ‘অনারারি ফেলোশিপ’ দিয়ে সম্মানিত করল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

যুক্তরাজ্যের এ বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াডাম কলেজ থেকেই এক সময় প্রথম শ্রেণিতে আইন শাস্ত্রের ডিগ্রি পেয়েছিলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এক চিঠিতে ওয়াডাম কলেজের ওয়ার্ডেন রবার্ট হ্যানিং বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ওয়াডাম কলেজের গভর্নিং বডি আপনাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আশা করি, আপনি এই সম্মাননা গ্রহণ করতে সম্মত হবেন।”

সম্মানসূচক এই ফেলোশিপ আজীবনের জন্য। একজন ফেলো হিসেবে বিচারপাতি রেফাত আহমেদ কলেজের বিভিন্ন বার্ষিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন এবং নৈশভোজে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাবেন। পাশাপাশি কলেজের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা তিনি ব্যবহার করতে পারবেন। ফেলো হিসেবে আলাদা কোনো দায়িত্ব তাকে পালন করতে হবে না।

“সবচেয়ে বড় কথা হল, এই ফেলোশিপের মাধ্যমে কলেজ আপনার সঙ্গে যুক্ত থাকার এবং আপনার অসাধারণ অর্জনগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্মান অনুভব করতে চায়,” বলা হয়েছে চিঠিতে।

চব্বিশের জুলাই অভ্যত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গতবছর অগাস্টে বাংলাদেশের পঞ্চবিংশতম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সে সময় তিনি ছিলেন হাই কোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেফাত আহমেদ পরে আইন পড়তে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াডাম কলেজে যান। সেখানে ডিগ্রি পাওয়ার পর মাস্টার্স ও পিএইচডি করেন যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে।

ব্যাংক খাতের আইনজীবী হিসেবে পেশাজীবন শুরু করা রেফাত আহমেদ অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গেও কাজ করেছেন।

তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতে এবং ১৯৮৬ সালে হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।

২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে বাংলাদেশের হাই কোর্টে যুক্ত হন। দুই বছর পর হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হন।

তার বাবা প্রয়াত সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল, যিনি পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বও পালন করেন।

সৈয়দ রেফাতের মা জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক ছিলেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *