সোনারগাঁ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রবাসী আবুল কাসেমের পরিবারের ওপর এক চিহ্নিত মানবপাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৫ মার্চ রাতে সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বেইলর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই হামলায় প্রবাসী আবুল কাশেমের ছেলে মো: মাজেদ ও তার খালাতো ভাই রোমান গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার ১ সপ্তাহ পার হলেও এসআই ইসলাম ঘটনার তদন্ত করেও কোন মামলা নিচ্ছে না দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিবাদী ১/ ইলিয়াস (৪০), পিতাঃ আব্দুল মতিন (হারেজ), ২। ইয়াছমিন (৩৫), স্বামী: হায়দার, সাং-বেইলর, ডাকঘর-বরাব, থানা- সোনারগাঁ, জেলা- নারায়নগঞ্জ ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে বিবাদীগন খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক ও এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রহিয়াছে। আমার পিতার বিদেশ প্রেরনের উদ্দেশ্যে জুলাই/২০২৪ সালে আমার পিতার নিকট থেকে বিবাদীগন ৪,৫০,০০০/- টাকা গ্রহন করে কথামত কাজ ও বেতন ভাতাদি প্রদান করে না বিধায় একাধিকবার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সালিশী মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আমার মা হাসিনা গত ইং-২৮/০১/২০২৫ তারিখ সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে যার ধারাবাহিকতায় বিবাদীগন আমাদের সহিত দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের সাথে শত্রুতা পোষন করিয়া আসিতেছে। উক্ত শত্রুতা সাধনের লক্ষ্যে বিবাদীগন সর্বদা আমাদের নানাবিধ ক্ষতিসাধনের চেষ্টায় লিপ্ত আছে । গত ইং-১৫/০৩/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় সোনারগাঁ থানাধীন বেইলর সাকিনে সামাজিকতার ভিত্তিতে মীমাংসার উদ্দেশ্যে ২নং বিবাদীর বাড়িতে পৌঁছালে বিবাদীগন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি প্রদান করে। আমি মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করাতে বিবাদীগন বে-আইনী জনবদ্ধতায় একত্রিত হয়ে হাতে থাকা দা, বটি, চাপাতি, রামদা, লাটি-সোটা দেশীয় ও বিদেশী বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আক্রমন করিয়া মারপিট করিয়া আমার মা হাসিনা ও আমার খালা রুমি খালাতো ভাই রোমান এর উপর আক্রমন করে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে আমার মা ও খালার কাপড় সরাইয়া মারধর করে অশ্লীলতা হয়রানি করে।
একপর্যায়ে ১নং বিবাদী হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীগন ভবিষ্যতে সময় সুযোগমত পাইলে আমার জীবন নাশ করিয়া ফেলিবে বলে উক্তস্থান হইতে চলিয়া যায়।
এ ঘটনায় মামলার জন্য সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: মফিজউদ্দীনের কাছে ভুক্তভোগী পরিবার গেলে তিনি তাৎক্ষণিক এসআই ইসলামকে ডেকে মামলা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে এসআই ইসলাম এখনো মামলা না নেয়ায় বিবাদীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে নানা ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।