বিশেষ প্রতিনিধি
জাতীয়তাবাদীর রাজনীতি, জিয়াউর রহমানের রাজনীতি ধারণ করতে পারলে বাংলাদেশ রক্ষা পাবে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা পাবে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই রাজনীতিকে ধারণ করতে হলে, যারা এই রাজনীতির রুপ প্রকল্পের প্রবক্তা, তাদেরকে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে।
মঙ্গলবার ১১ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৪৬ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটি আয়োজন করে মশিউর রহমান জাদু মিয়া মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটি।
দুদু বলেন,যাদু ভাইকে অবহেলা করা মানে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অবহেলা করা। গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও স্বাধীনতাকে অবহেলা করা। কারণ তিনি আজন্ম মানুষের অধিকার নিয়ে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, যাদু ভাই যখন নেতা ছিলেন, আমরা তখন ছাত্র ছিলাম। আমাদের বড় অর্জন ছিল তার সমৃদ্ধ পাওয়া। তার মতো বক্তা শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে খুব কমই ছিল। তিনি বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন।
যাদু ভাই শেষ জীবনে যে পথ অলংকার করেছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের রাজনীতিতে অন্য ইতিহাস তৈরী হতো জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন,যাদু ভাইকে অবহেলা করা মানে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অবহেলা করা। গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও স্বাধীনতাকে অবহেলা করা। কারণ তিনি আজন্ম মানুষের অধিকার নিয়ে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন,মশিউর রহমান যাদু মিয়া আমাদের মধ্যে না থাকলেও, তিনি বাংলাদেশের জন্য যা দিয়ে গেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান এই ব্যক্তির কারণে দেশকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং যাদু ভাইদের রাজনীতি আমাদেরকে ধারণ করতে হবে। ধারণ করতে পারলে ফ্যাসিবাদকে আমরা উৎখাত করতে পারবো। বিদেশি শক্তির আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারবো।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য আব্দুস সালাম, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি জিয়াউল হক মিনু, সাধারণ সম্পাদক ন্যান্সি রহমানসহ প্রমুখ।