যাযাদিপ্র ডেস্ক
মার্কসবাদী সাহিত্যিক, বাংলার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ, প্রগতি লেখক সংঘ ও রেল শ্রমিক আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী কমরেড সোমেন চন্দের ৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ সকালে সূত্রাপুরের হৃষিকেশ দাস রোড কদমতলায় শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এখানেই ১৯৪২ সালের ৮ মার্চ রেল শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় উগ্র জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিস্ট চক্র তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সূত্রাপুর থানা কমিটি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, প্রগতি লেখক সংঘ, সোমেন-তাজুল পাঠাগারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সূত্রাপুর থানা কমিটির সভাপতি বিকাশ সাহার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত স্মরণসভায় বিপ্লবী সোমেন চন্দের কর্মময়জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক রহমান মুস্তাফিজ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সূত্রাপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড গোলাম রাব্বী খান প্রমূখ।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বিপ্লবী সোমেন চন্দ মাত্র বাইশ বছরের জীবনে গণসাহিত্য ও গণআন্দোলনের যে মেলবন্ধন রচনা করেছেন তা নজিরবিহীন। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম আর সাধারণ মানুষের মুক্তি আন্দোলন তাঁকে গণসাহিত্যমুখী করেছে নাকি গণসাহিত্য রচনা করতে যেয়ে তিনি সাধারণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের সংগ্রামে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন তা গবেষণার বিষয়। সোমেন চন্দ সমাজে বিপ্লবী রূপান্তরের কাজ করেছেন। তিনি সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল পরিবেশনের মাধ্যমে বিপ্লবী সোমেন চন্দের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হয়।