যাযাদিপ্র ডেস্ক
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার। এমন মন্তব্য করেছেন জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধিরা। এমন পরিস্থিতিতে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে জুলাই মঞ্চ বলছে, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে শাহবাগে ‘শহীদি ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে জুলাই মঞ্চ আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে গণহত্যার বিচার দাবিতে নিজেদের বক্তব্য ও কর্মসূচি তুলে ধরেন মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি সাকিব হোসেন বলেন, ‘গণহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বিচারের ধীরগতি আমাদের মনে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে। পাশাপশি দেখা যাচ্ছে, চিহ্নিত গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ কোনো উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না। এর মধ্যে ৬২৬ জন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনাসহ ভারতে পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রমেরও কোনো উন্নতি নেই, যা গণ-অভ্যুত্থানে দুই হাজার শহীদের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করার শামিল।
গণহত্যার বিচার না পাওয়া গেলে বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবন ভবিষ্যতেও অরক্ষিতই থেকে যাবে। আমরা আগামীর নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
মঞ্চের আরেক প্রতিনিধি থোয়াই চিং মং বলেন, ‘আমরা সাত মাস সময় দিয়েছি। আশা করেছিলাম, এই সাত মাসে আমরা আমাদের শহীদদের আত্মাকে শান্ত করতে পারব গণহত্যাকারীদের বিচার করার মাধ্যমে।
কিন্তু এত দিন পার হওয়ার পরও সেটা সম্ভব হয়নি। আমরা শহীদদের প্রতি দায়বদ্ধ। গণহত্যার বিচার আগে হতে হবে, এরপর সংস্কার বা নির্বাচন যা ইচ্ছা করুন।’
মঞ্চের প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে সংহতি সমাবেশ শেষ হয়। আরিফুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে গণহত্যা হবে আর বিচার হবে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
আমরা আমাদের নাগরিক দায়িত্ববোধ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শাহবাগে অবস্থান করছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বচ্ছ ইমেজের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে বিশেষ বাহিনী গঠন করে দেশে অবস্থানরত গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় আমরা শাহবাগে অচিরেই ‘শহীদি ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করব।”