বিশেষ প্রতিনিধি
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিদ্বেষ আগাগোড়া থেকেই ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মানসিক ইনস্টিটিউট এর মিলনায়তনে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) উদ্যোগে ‘বিডিআর হত্যাকান্ডে শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফুর রহমান খান স্মারক বক্তৃতা’ ‘পিলখানা থেকে আগস্ট: দ্রোহ থেকে বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, মানুষ সেনাবাহিনীকে আস্থার প্রতীক মনে করে। মানুষ মনে করে এরা আমাদের প্রতিরক্ষার দেয়াল, আমাদের সমাজে যে কোন জঞ্জাল মোকাবেলায় সেনাবাহিনী আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। এই প্রতিষ্ঠানটিকে কলঙ্ক করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে চেষ্টা করা হয়েছে। প্রথমে রক্ষী বাহিনী তৈরি করে। তারপরে সেনাবাহিনীর যখন জাতীয় সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে আপসহীনভাবে পথচলা শুরু করেছে তখন একটা বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী বিএনপি সম্পর্কে বলেছেন সামরিক ঘাঁটি থেকে তৈরি করা দল। ভাবখানা এমন যেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য জায়গা, এরা রাজনীতি করে কিভাবে। এর থেকেই বোঝা যায়, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিদ্বেষ আগাগোড়া থেকেই ছিল।
তিনি বলেন, যে যে প্রতিষ্ঠানে আছে সেই প্রতিষ্ঠানকে যদি শক্তিশালী করা হয় তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আরো এগিয়ে যাব। আমরা সবাই একদিন চলে যাব। আমাদের পূর্ব প্রজন্ম চলে গেছে, আমরা চলে যাব। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আসবে। চলে যখন যেতেই হবে তাহলে আমরা কিছুটা ভালো কাজ করে যাই।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সাংবাদিক সাগর-রুনির কাছে পিলখানার হত্যাকান্ডের তথ্য প্রমাণ ছিল, যে কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যখন সেনাবাহিনী অগ্রসর হল, রাস্তায় কিন্তু তাদেরকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সব তথ্য বের করতে হলে প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সেনাপ্রধান গতকাল যে বক্তব্যটা দিয়েছেন সেই বক্তব্যে সাহস আছে, ধীরতা আছে। সেখানে একটা সংলাপ আছে যা মানুষকে আরো আশ্বস্ত করে। আমরা মনে করি এর নিরপেক্ষ একটি বিচার হওয়া উচিত। কারা অবিচারের শিকার হয়েছে। আর কারা বিচার এড়িয়ে গেছে। সব তথ্য যেদিন বেরিয়ে আসবে। সেদিন এটার গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার সৈয়দ ফাহমিদ উর রহমান, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি ডাক্তার হারুন আল রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামাতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সহ আরো অনেকে।