Jaijaidin

চাকরি ফেরত পাচ্ছেন ৮২ নির্বাচন কর্মকর্তা

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদিপ্র ডেস্ক

২০০৭ সালে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

তবে এ ৮৫ জনের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

পৃথক আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। অন্যদিকে চাকরিচ্যুত নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও সালাহ উদ্দিন দোলন।

পরে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন জানান, তাদের সুযোগ-সুবিধাসহ পুনর্বহাল করার রায় হয়েছে। যে সময়টা ওনারা চাকরিতে ছিলেন না সেটা সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে। আর যে তিনজন মারা গেছেন আবেদন সাপেক্ষে তাদের আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকার সব বেনিফিট পাবেন।

এর আগে ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়।

চার দলীয় জোট সরকারের সময়ের এ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। এ আপিল মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকার পক্ষ পৃথক আপিল করে।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের চাকরিতে ফেরত আটকে যায়। পরে ২০২৩ সালে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে তারা আবেদন করেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *