যাযাদিপ্র ডেস্ক
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মারধর, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বান্ধবী লায়লা আখতার ফরহাদের করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এদিন মামুনের পক্ষে আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ সেই আবেদনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
এ মামলায় গত বছরের ৩ জুন মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর এই মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার ফরহাদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় লায়লার। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকেন। এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায় সময়ই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় যেতেন এবং অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন। এমনকি মাঝেমধ্যে লায়লাকে মারপিট ও বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারাও করতেন মামুন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় আসেন তারা। এ সময় মামুনসহ আরও দুজন মদ পান করার জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। লায়লা তাকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেন। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করেন এবং হত্যার চেষ্টা করেন।
তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।