যাযাদিপ্র রিপোর্ট
সড়ক দূর্ঘটনা কমিয়ে এনে হতাহতের সংখ্যা হ্রাস করতে সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন জরুরি। এজন্য দরকার শক্তিশালী নীতি ও আইনী কাঠামো। বর্তমান আইন সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় তেমন কোন ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারছে না।
রবিবার ঢাকার ধানমিন্ডতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ এবং সড়ক নিরাপত্তা আইনের দুর্বল দিক নিয়ে গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি এন্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান বলেন, বহুমুখী যানবাহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ সড়ক ব্যবহার ও রোডক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান আইনটি পরিবহন কেন্দ্রিক। এই আইনে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো একেবারেই অনুপুস্থিত। তাই প্রয়োজন একটি উপযোগী সড়ক নিরাপত্তা আইন এবং সেই আইনের বাস্তবায়ন।
সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন, নিরাপদ সড়ক সকলের মৌলিক অধিকার। আর সেই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক দূর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হবে। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে হতাহতের সংখ্যা। সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে জাতিসংঘের সুপারিশকৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ণের কথা বলেন তিনি।
কারণ বর্তমানে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ ও ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২’ অনুযায়ী সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার শুভ্র দেবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, বাংলা ভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর আবু রুশদ মো. রুহুল আমিন ও একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি শাহনাজ শারমিনসহ অন্তত অর্ধশত সাংবাদিক।