Jaijaidin

সচেতনতার অভাবে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ড

Shah Alam Soulav
10 Min Read

গাফফার খান চৌধুরী

জলবায়ু পরিবর্তন, সচেতনতার অভাব, নিয়মিত মনিটরিং না করা, অধিকাংশ বহুতল ভবনে হাইড্রেন্ড না থাকাসহ নানা কারণে এবার শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বাড়তে পারে। এমন আশঙ্কায় ফায়ার সার্ভিস অভিযান শুরু করছে। সকল ফায়ার স্টেশনকে শুষ্ক মৌসুমকে মাথায় রেখে বিশেষভাবে সর্তক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের মত দূর্ঘটনা এড়াতে সারাদেশের মানুষকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সচিবালয়ে এবং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ঢাকার হাজারিবাগে ফিনিক্স লেদার কোম্পানীর গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও সিলেট, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকান্ডে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের সহায়তায় আগুন নিভাতে হয়েছে। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মূখপাত্র ও অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেইনেন্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ছাড়াও কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, প্রতি বছরই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিদূর্ঘটনা তুলনামূলক বেশী ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর গড় হার অনুপাতিক হারে বাড়ছে। মূলত জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণেই অগ্নিদূর্ঘটনা বাড়ছে বলে সার্বিক পর্যালোচনায় ওঠে এসেছে। অথচ বছর দশেক আগেও শুষ্ক মৌসুমে বিশেষ করে শীতের সময় ঘন কুয়াশা পড়ত। বিকাল থেকেই কুয়াশা পড়ত। সকাল দশটা বা কোন কোন জেলায় দুপুর পর্যন্তও ঘন কুয়াশা দেখা যেত। জলবায়ূর পরিবর্তনের কারণে এখন আর আগের মত কুয়াশা পড়ছে না।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, কুয়াশা কম পড়ায় অধিকাংশ জিনিসপত্র অনেকটাই শুষ্ক থাকছে। এতে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও তুলনামুলক বেশী ঘটছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশী ঘটনায় স্বাভাবিক কারণেই ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। কুয়াশার কারণে অধিকাংশ জিনিসপত্র ভেজা থাকত। আগুন দ্রুত ছড়াতে পারত না। কিছুটা হলেও দেরিতে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করত। ওই সময়ের মধ্যেই আগুন নেভানো সম্ভব হলে ক্ষতি কম হত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুয়াশা তুলনামুলকভাবে অনেক কম পড়ছে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় সব কিছু শুকিয়ে অনেকটা বারুদের মত হয়ে থাকে। যে কারণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে, তা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার জানান, ২০২৩ সালে সারাদেশে সাড়ে ২৭ হাজারের বেশি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গড়ে প্রতি মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ২৯১টির বেশী। এতে নিহত হয়েছেন ১০২ জন। আহত হয়েছেন ২৮১ জন। অগ্নিদূর্ঘটনায় প্রায় ৮শ’ কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, বিড়ি সিগারেটের আগুন, লাকড়ি ও গ্যাসের চ’লা থেকে। বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকান্ড ঘটেছে। সবচেয়ে কম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে। শুষ্ক মৌসুমে নানা কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশী ঘটে থাকে।

ফায়ার সার্ভিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছেন, ২০২৪ সালের অগ্নিদূর্ঘটনার পরিসংখ্যান পুরোপুরি হাতে আসেনি। সারাদেশের ৫৩৭টি ফায়ার স্টেশনের মধ্যে ৫০০টি থেকে নানা তথ্য এসেছে। তাতে প্রতি মাসে গড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২ হাজার ৫০০টি। যা ২০২৩ সালের তুলনায় বেশী। এসব অগ্নিকাণ্ডে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অগ্নি দূর্ঘটনা ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেইনেন্স বিভাগের সাবেক পরিচালক মেজর (অব.) একেএম শাকিল নেওয়াজ বলছেন, দেশের অধিকাংশ অগ্নিদূর্ঘটনা ঘটে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। অধিকাংশ বাসা বাড়ি বা বহুতল ভবনে মানসম্মত বৈদ্যুতিক ওয়্যার ব্যবহার করা হয় না। এতে করে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশী ঘটে। বৈদ্যুতিক ওয়্যারের সঙ্গে আর্থিং থাকে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর্থিংয়ের তার বিশেষ মাটির ভেতরে থাকে। দিনের পর দিন সেখানে কোন ধরণের পানি না পড়লে আর্থিং শুষ্ক হয়ে আগুন ধরিয়ে দিতে সহায়ক হয়ে থাকে। তাই প্রায়ই আর্থিংয়ের তারের গোড়ায় পানি দেওয়া উচিত। এতে করে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি কমে।

তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বা ওয়্যারে ব্যবহৃত রাবার মানসম্মত না হওয়ার কারণেও আগুন লাগে। এমনকি আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাসা বাড়িতে গ্যাস জমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে বাসা বাড়ির দরজা জানালা দীর্ঘ সময় বন্ধ না রেখে মাঝে মাঝে খুলে দিয়ে আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমে। বন্ধ বাসা বাড়ি খোলার পর পরই কোন ধরণের বিদ্যুতে সুইচ অন করা উচিত না। প্রথমে দরজা জানালা খুলে দিতে হয়। এরপর আস্তে আস্তে বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র ব্যবহার করতে হয়।

এই বিশেষজ্ঞ বলছেন, অনেক সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা বিদু্যুত ঘন ঘন যাতায়াতের এক পর্যায়ে আগুন লেগে যায়। এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা গরমের সময় বেশী হয়ে থাকে। কারণ গরমকালে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামুলকভাবে অনেক বেশী থাকে। চাহিদা অনুযায়ী দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদিত না হওয়ার কারণে লোডশেডিং হয়। অথচ বিদ্যুত ঘন ঘন যাওয়া আসার কারণে হঠাৎ করেই ভোল্টেজ বেড়ে যায়। মানসম্মত বৈদ্যুতিক তার বা অন্যান্য সরঞ্জাম বা এসপিডি (সিস্টেম অব পাওয়ার ডিভাইস) ব্যবহার না করার কারণে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাসা বাড়িতে বা বহুতল ভবনে এসপিডি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ যতই ঘন ঘন যাতায়াত করুক না কেন, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থাকে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, অগ্নিদূর্ঘটনা কমিয়ে আনতে মানুষের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষকে আরও সর্তক হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেমন ইলেকট্রিক টোস্টার, ওভেন, হেয়ার ড্রায়ার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, পানি গরম করার হিটার ও ফ্রিজসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চালু করার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পাশাপাশি ঘর থেকে ইঁদূর তাড়ানোর ব্যবস্থা করার কথা বলা হচ্ছে। কারণ ইঁদূর বৈদ্যুতিক তার কেঁটে ফেললে বড় ধরণের অগ্নিকান্ড ঘটনার সম্ভবনা থাকে। নিয়মিত এক্সহস্ট ফ্যান ও রান্না ঘরের চ’লার উপরে থাকা হুডার নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ ফ্যান ও হুডারে জমে থাকা ময়লায় তাপ থেকে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। অন্তত এক মাস পর পর এসব পরিষ্কার করতে হয়। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের সময় করণীয় সর্ম্পকেও মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী বলছেন, প্রায় শতভাগ দূর্ঘটনার জন্যই দায়ী ব্যক্তিগত অসচেতনতা ও যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাব। বাসা বাড়িতে লাগা আগুনের অধিকাংশই ঘটে ব্যক্তিগত অসচেতনার কারণে। এছাড়া তিতাস গ্যাসের লাইন নিয়মিত মনিটরিং না করার কারণেও মাঝে মধ্যে আগুন লাগে। একই অবস্থা বিদ্যুত বিভাগেও। এছাড়া ঢাকার অধিকাংশ ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক থাকে। ট্যাংকে জমে থাকা মিথেন গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে প্রায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা ঘটে। তাই নিয়মিত ট্যাংকি পরিষ্কারের বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, শক্তিশালী টেবিল ফ্যান দিয়ে ট্যাংকির ভিতরে বাতাস দিলে জমে থাকা মিথেন গ্যাস বেরিয়ে যায়। এতে দূর্ঘটনা ঘটার ভয় থাকে না। নিয়মিত স্যূয়ারেজ লাইন পরিস্কার করতে হবে। অন্যথায় লাইনে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যদিও শীতের চেয়ে গরম কালে এ ধরণের দূর্ঘটনা বেশী ঘটে। গ্যাসের চ’লা সঠিক মিস্ত্রি দিয়ে মেরামত করতে হবে। কারণ পাড়া মহল্লায় যারা মাইক দিয়ে ডেকে ডেকে গ্যাস চ’লা ঠিক করেন, তাদের গ্যাসের চ’লা সর্ম্পকে তেমন কোন ধারণা নেই। যে কারণে প্রায়ই গ্যাসের চ’লা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, এখন শীতকাল। এসির তেমন কোন ব্যবহার নেই। শীত শেষে এসির ব্যবহার শুরু হবে। এসি ব্যবহারের আগে অবশ্যই দক্ষ কারিগর দিয়ে সার্ভিসিং করতে হবে। অনেকেই নতুন এসি ভেবে আর সার্ভিসিং করান না। এটি বড় ধরণের বিপদ ডেকে আনতে পারে। এছাড়া মেরামতকারীদের অধিকাংশই এসি সর্ম্পকে তেমন কিছুই জানেন না। বিগত বছরগুলোতে শীত শেষ হওয়ার পর পরই এসি বিস্ফোরণে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও নেহায়েত কম না। সাধারণত পাড়া মহল্লায় এসি মেরামতে জড়িতরা আইসোবিউটেট নামের এক ধরণের গ্যাস ব্যবহার করেন। এটি খুবই উচ্চমাত্রার দাহ্য ও বিস্ফোরক জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ। এই গ্যাস এসির কম্প্রেসারে ব্যবহার করলে বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের সম্ভবনা তুলনামুলকভাবে অনেক বেশী থাকে।

তিনি বলেন, এসিতে সিএফসি (ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন) ও এইচএফসি (হাইড্রো ফ্লোরো কার্বন) নামক গ্যাস ব্যবহার করলে বিস্ফোরণের সম্ভবনা নেই বললেই চলে। এসিতে আগুন লাগলেও বিস্ফোরণ ঘটবে না। এই দুই ধরণের রাসায়নিক পদার্থই বাজারে সহজলভ্য। যদিও রাসায়নিক পদার্থ দুইটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে এসব রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে বন্ধ হয়নি। এছাড়া এইচসিএফসি (হাইড্রো ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন) নামের গ্যাস বাজারে আছে। এই গ্যাস অন্যান্য গ্যাসের তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী নিরাপদ।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর বলছে, ইতোমধ্যেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা কমিয়ে আনতে জনগণকে আগাম সর্তক করার কাজ শুরু করা হয়েছে। বাণিজ্যিক, আবাসিক ভবনে ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্ত নির্দেশিকা। বহুতল ভবনে থাকা হাইড্রেন্ডে পর্যাপ্ত পানির মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। ভবনের ভিতরে থাকা আগুন নেভানোর সরঞ্জাম সচল রাখতে বলা হয়েছে। দেশে বেআইনী গড়ে ওঠা কেমিক্যালের গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হচ্ছে। কারণ কেমিক্যালের আগুন যেমন ভয়াবহ হয়, তেমনি প্রাণহানি ও ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশি হয়। এজন্য কোনভাবেই বেআইনী কেমিক্যালের গুদাম আবাসিক এলাকা রাখতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *