Jaijaidin

রোববার সকাল থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু, জানাল ইসরায়েল

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদিপ্র ডেস্ক

গাজায় রোববার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এমনটি জানিয়েছে।

যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী কাতার আগেই এই সময় জানিয়ে দিয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পর তারা জিম্মিদের নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। জিম্মিদের শারীরিক ও মানসিক সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।

তারা বলছে, তাদের সশস্ত্র বাহিনী গাজা উপত্যকার কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযান চালিয়ে যাবে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গাজায় নিহত ১২০

বুধবার গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পরও ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। চুক্তি ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২২ জনে।

হামাস শাসিত সরকারের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এমনটি জানায়। সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, নিহতদের মধ্যে ৩৩ জনই শিশু। আহত হয়েছেন ২৭০ জন।

ইসরায়েলের বিমান হামলাও গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। ইউনিসেফের একজন কর্মী গতকাল বিবিসিকে বলেন, তিনি গাজার আকাশে ড্রোনের পরিচিত আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা শনিবার সকালে জানায়, শুক্রবার শেষরাতে দক্ষিণ গাজার আল-কারারায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। বিবিসি এই খবরের সত্যতা যাচাই করেনি।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পরও ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানোর ঘটনা নতুন নয়। সবশেষ এটি লেবাননে ঘটেছে, যেখানে নভেম্বর মাসে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা আগে রাজধানী বৈরুতে ভারী বোমাবর্ষণ করা হয়।

গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত সংকটাপন্ন

গাজায় ত্রাণকর্মীরা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানালেও তারা বলেছেন যে গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষের পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত সংকটাপন্ন।

ইউনিসেফের রোসালিয়া বোলেন বিবিসিকে বলেন, হাজার হাজার মানুষ নিদারুণ অভাবের মধ্যে বসবাস করছেন।

অস্থায়ী তাঁবু এবং জনবহুল আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, সেখানে রোগব্যাধি প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি শুধুমাত্র বোমা ও গুলির কথা নয়, মানুষের বেঁচে থাকার পরিবেশই আসল সমস্যা।

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি ত্রাণ সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে গাজায় একটি বাজার অর্থনীতি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার, যাতে মানুষ তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে পারে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *