Jaijaidin

দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড ইমরান খানের

Shah Alam Soulav
3 Min Read

যাযাদিপ্র ডেস্ক

আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।

একই মামলায় তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিচারক নাসির জাভেদ রানা সাজা ঘোষণা করে বলেন, প্রসিকিউশন ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ করেছে। এতে ইমরান খান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরাস খানকে ১০ লাখ পাকিস্তান রুপি জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বুশরা বিবিকে ৫ লাখ জরিমানা করা হয়েছে

এ নিয়ে চারটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান বর্তমানে দেশটির রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি। ১৯ কোটি পাউন্ড তছরুপের অভিযোগে তার ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি করেছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। এ মামলায় ২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির এই মামলায় ইমরান ও বুশরাকে অভিযুক্ত করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান ও বুশরা বিবি বাহরিয়া টাউন লিমিটেডের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি অর্থ এবং অনেক জমি নিয়েছিলেন। ইমরানের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী পিটিআই সরকারের সময় যুক্তরাজ্য পাকিস্তানকে যে পাঁচ হাজার কোটি রুপি পরিমাণ অর্থ ফেরত দিয়েছিল, তা বৈধ করতে এসব লেনদেন হয়েছে।

ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল ফরিদ চৌধুরী আদালতের রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন। এই রায়কে ‘ভুয়া রায়’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে আইনজীবী ফয়সাল বলেন, এটি সম্ভবত একমাত্র মামলা যেখানে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) এক পয়সারও ক্ষতি প্রমাণ করতে পারেনি।

এদিকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পিটিআই জানিয়েছে, তারা বিস্তারিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে ও তাদের দাবি, ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে আনা মামলাটি ভিত্তিহীন।

পিটিআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব প্রমাণ ও সাক্ষীদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে ইমরান খান কিংবা তার স্ত্রী কোনো দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনা করনেনি। ইমরান খান ও বুশরা বিবি কেবল আল-কাদির ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে ছিলেন, এর বাইরে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।

ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ও তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে। যদিও ইমরান খান ও তার দল বলেছে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিকভাবে উদ্ধেশ্যপ্রণোদিত ও তাকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখতেই এসব মামলা দেওয়া হয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *