সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অপহরনের ৩৭ দিন পর অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর এলাকা হতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। তবে ওই সময় অপহরণকারী শাহিন মির্জা পালিয়ে যান।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন( পিবিআই) এর নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ বিপিএম’য়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পিবিআইয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামের মো. ইয়াছিন মিয়ার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে জৈনপুর তালিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার সামনে থেকে পিরোজপুর গ্রামের কুদরত আলী কুরজুর ছেলে শাহিন মির্জার নেতৃত্বে ৪-৫ জনের একটি দল মাইক্রোবাস যোগে অপহরণ করে নিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে গত ১৩ মার্চ অপহৃত কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
পরে গত বুধবার বিকেলে পিবিআইয়ে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শাহিন মির্জার পিরোজপুর গ্রামের বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে। তবে অপহরণে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত শাহিন মির্জার চাচাতো ভাই কবির হোসেন বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্কে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে।’ তাছাড়া অপহরন করলে কেউ সেই মেয়েকে বাড়িতে রেখে সংসার করে না। মেয়ের বাবা বিয়েতে রাজী না হওয়ায় মেয়ে নিজেই ছেলের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়ে ছেলেকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। ছেলের পরিবারও তাদের বিয়ে মেনে নেয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ বিপিএম জানান, অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপহরণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।