Jaijaidin

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছের বাজার

Shah Alam Soulav
3 Min Read

যাযাদিপ্র ডেস্ক

কাঁচাবাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি কম দামে পাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে অল্প অল্প করে বাড়ছে মাছের দাম। বিশেষ করে সস্তা মাছ হিসেবে পরিচিত তেলাপিয়া, পাঙ্গাসের মতো মাছগুলো এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার ওপরে। এতে বিপাকে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কম দামে কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। গত দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা ও কচুর লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া কলার হালি ৩০, শালগম ৪০, গাজর ৫০, প্রতি কেজি পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৭০ টাকা, টমেটো ৫০, পালংশাক, লাল শাক, পেঁয়াজের কলি প্রতি আঁটি ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে এসেছে।

এদিকে, মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বছরের শুরু ও শীত মৌসুমে বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে মাছের। তবে সেই তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম, যে কারণে দাম বেড়েছে।

তারা আরও জানান, শেষ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে একটু একটু করে বেড়েছে মাছের দাম। এখন কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেশি।

রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম বাড়ছে। কারণ এখন খাল বিল শুকিয়ে আছে। সব এলাকায় মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া একইভাবে দাম বেড়ে পাবদা ৩৬০-৪০০, চাষের শিং ৫০০ থেকে ৫৫০, এক কেজি সাইজের রুই-কাতল ৩০০-৩২০, বড় রুই-কাতল ৪০০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সামুদ্রিক কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, প্রতি কেজি দেশি শিং ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকার ওপরে এবং ছোট ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে একই অবস্থায় রয়েছে, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *