যাযাদি ডেস্ক
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ ই আগস্ট ২০২৪ ইং নির্মমভাবে জিয়াদ হাসান কে গুলি করে হত্যা করা মামলায় মৃত জিয়াদ হাসানের ভাই পারভেজ হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসী কবির মুসা সহ ৪৮২ জনকে আসামি করে চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটআদালতে একটি এজাহার দায়ের করেন
পরবর্তীতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে রাজধানীর কদমতলী থানায় মামলা দায়ের হয়।
মামলা নাম্বার ২৯, ধারা ঃ১৪৯/৩০২/৩৪/১০৯ দন্ডবিধি। তাং- ২২ এপ্রিল ২০২৫ বাৎসরিক নাম্বার ১৬৯।
এ মামলার অন্যান্য আসামী গণ হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের, ডক্টর দীপু মনি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ রেহেনা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম,শেখ ফজলে নুর তাপস, সাইফুল কবির, হাসান ইমাম,কাজী আলী আজম, মানিক সরকার আখি সিকদার সহ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক এমপি মন্ত্রী আমলা পুলিশ কর্মকর্তা সহ জড়িত অনেককে আসামি করা হয়। মামলার বাদী পারভেজ হোসেন বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২০/০৩/২০২৫ ইং তারিখে উপস্থিত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এই মামলার অভিযোগটি দায়ের করেন পরবর্তীতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কদমতলী থানা কে অভিযোগটি যাচাই বাছাই করে সাত দিনের মধ্যে এফ আই আর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পারভেজ হোসেনের এই অভিযোগটি এফ আই আর হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেন।
সন্ত্রাসী কবির মুসার বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আরো অনেকগুলো থানায় হত্যা মামলা, গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলা, বাড্ডা থানায় দূর্জয় আহমেদ নামে এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যার উদ্দেশ্যে চোখ নষ্ট করে ফেলা,বিধবা ও এতিমের অর্থ আত্মসাৎ জালজালিয়াতি প্রতারণা অবৈধ উপায়ে বিদেশে অর্থ প্রাচার সহ অনেকগুলো মামলা চলমান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কদমতলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান আমরা এই সন্ত্রাসী দুই আসামি সহ প্রত্যেকটি আসামিকে ধরার জন্য দেশের সকল প্রকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করবো এবং কেউ যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।