বিশেষ প্রতিনিধি
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,বাংলাদেশের যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে শহীদ জিয়াকে অনুসরণ করতে হবে।
শনিবার ২২ মার্চ রাজধানীর জিয়া উদ্যানে জিয়া পরিষদের ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন,শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে স্বাধীন দেশ হিসাবে গৌরবের সঙ্গে তুলে ধরা এগুলো ছিল শহীদ জিয়ার অমর কীর্তি।
তিনি বলেন ,স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। শিল্প ক্ষেত্রে এক ধরনের প্লাবনের এনেছিলেন। তার হাত ধরে এদেশে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। আজ যে রেমিটেন্স এর কথা বলি সেটাও এই মহান নেতার উদ্যোগ। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনের দুর্নীতি বিরোধী যেমন ঠিক তেমনি সামরিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরও তিনি ছিলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আধার। তার হাত ধরেই এদেশের দ্বিতীয়বারের মতো গণতন্ত্র গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। সেই নেতাকে আমাদের স্মরণ করতে হবে আমাদের নিজেদের কারণেই।
বাংলাদেশের যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে শহীদ জিয়াকে অনুসরণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, হাসিনার বিচার তিন,চার,ছয় মাসের মধ্যেই হতে পারতো। কিন্তু বিচারের নামে এখন যা হচ্ছে মানুষ ভুলতে বসেছে আদো বিচার হবে কিনা। তরুণরা বলেছে বিচারের আগে নির্বাচন হবে না। বিচার তো মনে হয় হবে না । তাই বলে কি নির্বাচনও হবে না? ভালো খেলা শুরু করেছেন। বিচার প্রক্রিয়াধীন পরীক্ষা চলে নির্বাচন চলে সবকিছু চলে বিচার চলতে থাকে। যদি ভালো উদ্যোগী হন তাহলে এক বছরের বিচারকার্য তিন মাসে করতে পারবেন। সেইজন্যে নির্বাচনকে আড়াল করার জন্য যুক্তি তর্ক সামনে আনা ঠিক হবে না। আপনি সাধারণ মানুষের পেটে ভাত না দিতে পারেন ভোটের অধিকার টা দিতে পারেন। শেখ হাসিনা তিন ট্রাম মানুষের ভোটের অধিকার দেয় না। আপনারা তো সেই একই পথে হাঁটছেন। মানুষ ভোটের অধিকার চায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর ড মো এমতাজ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড আবদুল লতিফ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ, ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশল রুহুল আলম, শফিকুল হাসান রতন,মুফতি আকতারুজ্জামান গিয়াস,কৃষিবিদ মনোয়ারুল ইসলাম এনাম, প্রকৌশলী শরীফুজ্জামান প্রমুখ।