Jaijaidin

শেষ বিকালে ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশের অস্বস্তি

Shah Alam Soulav
4 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় লিডের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাগতিকদের জন্য দ্বিতীয় দিনের শেষটা ঠিক কাঙ্ক্ষিত হলো না। সর্বশেষ ২০ রান তুলতেই তারা ৪ উইকেট হারিয়েছে। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯১, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের লিড দাঁড়াল ৬৪ রানের।

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন এবং আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় দিনের প্রায় পুরোটা জুড়ে দাপট ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত’র দলের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এদিন সেঞ্চুরির খরা কাটালেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তার পাশাপাশি মুশফিক-বিজয়দের মাঝারি ঘরানার ইনিংসে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই লিড পায় বাংলাদেশ। যদিও সাদমান বাদে আর কেউই ব্যক্তিগত ফিফটিও পায়নি। দিনশেষে মেহেদি হাসান মিরাজ ১৬ এবং তাইজুল ইসলাম ৫ রানে অপরাজিত আছেন।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জিম্বাবুয়ে ২২৭ রানে অলআউট হয় নিজেদের প্রথম ইনিংসে। গতকাল ৯ উইকেটে একই স্কোর নিয়েই তারা দিন শেষ করেছিল। আজ তাতে আর বাড়তি রান যোগ হয়নি। তাইজুল ইসলামের ৬ উইকেট শিকারের সুবাদে স্বস্তি নিয়েই ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নিজেদের ইনিংসের শুরুটাও ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার। চলমান সিরিজের মাঝপথে দলে ডাকা হয়েছিল অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়কে। সাদমানের সঙ্গে তিনি উদ্বোধনী জুটি গড়েন ১১৮ রানের। ২০২২ সালের পর এই প্রথম উদ্বোধনী জুটিতে ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ।

প্রায় তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ব্যক্তিগত পঞ্চাশের আগেই ফিরেছেন বিজয়। মুজারাবানির অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল তিনি ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না। বল গিয়ে তার পেছনের পায়ে লাগে। এলবিডব্লিউ আউট হওয়ার পর রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। বিজয় আউট হন ৩৯ রান করে। খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ না পাওয়া বিজয়ের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস এটিই। এমনকি এক ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়েও এর আগে কখনও ৩০ রান করতে পারেননি বিজয়।

শুরু থেকেই বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে খুব একটা ভুগতে হয়নি জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে। সাদমান ইসলাম ফিফটি পেয়েছিলেন লাঞ্চের আগেই। শুরু থেকেই ছিলেন সাবলীল। নিয়মিত বিরতিতে আসছিল বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত ১৪২ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরিটাও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। সেটা ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে।

সাদমানের সঙ্গে মুমিনুলের জুটিটাও জমে যাচ্ছিল। দুজনে মিলে গড়েছিলেন ৭৬ রানের জুটি। তবে পরপর দুই ওভারে দুই ব্যাটারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। চা বিরতির আগমুহূর্তে মাসাকাদজার বলে অপ্রয়োজনীয় স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান। পরের ওভারের প্রথম বলেই রায়ান বেনেট এলবিডব্লু করেন সেঞ্চুরিয়ান সাদমানকে। ১৮১ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ১২০ রান করেন সাদমান। টেস্টে যা তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এরপর ৬৫ রানের জুটি গড়েন শান্ত-মুশফিক।

দলীয় ২৫৯ রানে শান্ত’র (২৩) বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে। তখনই শুরু হয় স্বাগতিকদের ব্যাটিং ধস। ২৫৯/৩ থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানেই স্কোরবোর্ড রূপ নেয় ২৭৯/৭ এ। রানখরার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচিত মুশফিক ব্যক্তিগত ফিফটি পাওয়ার কাছাকাছি থেকেই ফিরলেন দুর্ভাগ্যের রানআউটে। ভিনসেন্ট মাসেকেসার ওভারের শেষ বলে ১ রান নিয়ে পরের ওভারে স্ট্রাইক নিতে চেয়েছিলেন তিনি। ফলে ৪০ রানেই থামে অভিজ্ঞ এই তারকার ইনিংস। এ ছাড়া জাকের আলি ৫ এবং নাঈম হাসান ৩ রান করে ফিরলে বড় শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। তবে মিরাজ-তাইজুল দিনের বাকি কয়েক ওভার নিশ্চিন্তে পার করেছেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মাসেসেকা।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *