লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্কুল পড়ুয়া এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইমন (২১) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজের ছেলে। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তকে আটক করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে ইমন ওই এলাকার স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করে আসছে। তাকে কুপ্রস্তাব, শরীরিক হেনস্তা ও ইভটিজিং করে ইমন। তার এমন উত্যক্তের প্রতিবাদ করলে মা-মেয়ের দিকে তেড়ে আসে সে ও তার ভাই সাইফুল। তাদের ভয়ে মা-মেয়ে থানায় অভিযোগ করারও সাহস পাননি। এদিকে ইমন ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম এলাকায় সেনাবাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। যার কারণে ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারছেনা পরিবারটি।
এর আগে ইমনের বাবা সিরাজও এক প্রতিবন্ধী নারীর সাথে অনৈতিক কাজে ধরা পড়ে জনতার তোপের মুখে তাকে বিবাহ করেন। কিছুদিন আগেও ইমনের ভাই সাইফুল আরেক গৃহবধূর সাথে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন। সেনাবাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে ওই পরিবারটি এসব কর্মকান্ড করে চলছে।
স্থানীয়রা জানান, ইমন, তার বাবা সিরাজ ও ভাই সাইফুল বিভিন্ন নারীদের সাথে এমন কর্মকান্ড করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এসব অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে ওই এলাকায় তারা সমালোচিত হন।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, তার মেয়েকে ইমন সবসময় ইভটিজিং করে আসছে। তারা ইমনের অসামাজিক কর্মকান্ডে অসহায়। মেয়েকে নিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। একজন অসহায় মা হিসেবে মেয়ের সম্মান রক্ষায় প্রশাসনের কাছে সহায়তা চান।
ইমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার ভাই সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ইমনের নাম্বার বন্ধ। আপনারা নিউজ করে কি করবেন? এমন প্রশ রেখে তিনি বলেন, আপনারা লেখেন, আমাদের কোন সমস্যা নেই।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনা শুনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।