Jaijaidin

যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে নির্যাতন

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদিপ্র ডেস্ক

নারাণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাহিদামতো যৌতুক না দেওয়ায় উর্মি আক্তার(২০) নামে এক নারীকে অমানুসিক নির্যাতন করেছেন তার স্বামী পারভেজ(২৮)।

এ ঘটনায় গত রোববার (৯ ই মার্চ) সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ উর্মি আক্তার। পরবর্তীতে থানায় মামলা নিতে অসম্মতি জানালে ভুক্তভোগীর পরিবার (বৃহস্পতিবার) জেলা কোর্টে মামলা করে বলে জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার।

যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে নির্যাতনের সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ পেয়ে ভুক্তভোগীর শ্বশুর বাড়িতে গেলে ঘটনার সত্যতা পাই।তবে মামলা নেয়া হবে কিনা তা নিয়ে ওসি স্যারের সাথে কথা বলতে হবে।

ভুক্তভোগী উর্মি আক্তার অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কুরবানপুর এলাকার মাদলাপাড়া গ্রামের ছায়েব আলীর ছেলে সাথে ৯ মাস পূর্বে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ টাকাসহ ৫ লাখ টাকার মালামাল দেওয়া হয় পারভেজকে। এর কয়েক মাস পর শ্বশুরবাড়ি থেকে আরও ২ লাখ টাকা দাবী করেন। কিন্তু গৃহবধূ যৌতুকের টাকা দিতে অসম্মতি জানালে এক পর্যায়ে গত রোববার ঘরে আটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ ধরে তার ওপর অমানুসিক নির্যাতন করা হয়। পরে তার মা ও বোনকে মুঠোফোনে জানালে ঐদিনই তাদের সাথে কথা বলতে আসলে তাদের দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারধর করে এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ‘দা’ দিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে ভুক্তভোগী উর্মির মা ও বোনের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা। তাদের ডাক-চিৎকারের শব্দ শুনে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাস্থলে আহত ভুক্তভোগীর বড় বোন মৌসুমী আক্তার বলেন, গত কয়েকমাস ধরেই বোনের যৌতুকের দাবীতে বোনের জামাইসহ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি নির্যাতন করে আসতো। গত ৯ই মার্চ ছোট বোনকে নির্যাতনের কথা শুনে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়ে আমাদের মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে এবং আমার বোনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ‘দা’ দিয়ে মাথায় আঘাত করে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। তাদের সাথে কথা হয়েছে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *