জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা ধর্মীয় নিষ্ঠা, উৎসাহ ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এবং প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
সোমবার ( ৩ ফেব্রুয়ারী) ৩৬টি বিভাগ, ২টি ইনস্টিটিউট ও একমাত্র ছাত্রী হলসহ মোট ৩৯টি পূজামণ্ডপে বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ঢাক-ঢোল, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে প্রার্থনা ও বন্দনার মধুর সম্মিলন ঘটে।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে উপাচার্যের সভাকক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের সঞ্চালনায় এ সভায় উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, “শৈশব থেকেই আমরা বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে সম্প্রীতির পরিবেশে বেড়ে উঠেছি। সামাজিক বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও সনাতনী ঐতিহ্য ও উৎসবের মাধ্যমেই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন তার বক্তব্যে বলেন, “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হয়ে এই উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে আমরা সমাজে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিই।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন বলেন, “আমাদের মাঝে ভিন্ন মত পথ থাকতেই পারে কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের উৎসবগুলোতে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা উদযাপন করতে পারি।”
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ শেখ গিয়াস উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকসহ অন্যান্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিবারের মতো এবারও পূজা আয়োজনে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বাণী অর্চনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি, প্রধান অতিথি হিসেবে সকল পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ শেখ গিয়াস উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।