Jaijaidin

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ৩ হাজার ছাড়ালো

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

মিয়ানমারে গত ২৮ মার্চ হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ১৪৫ জনে পৌঁছেছে। দেশটির সামরিক সরকারের বরাতে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এপি।

এছাড়া মিয়ানমানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি জানিয়েছে, রাজধানী নেপিদোতে দেশটির তথ্যমন্ত্রী মাউং মাউং ওন এক সভায় ঘোষণা করেছেন, ভূমিকম্পে ৪ হাজার ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন এবং ২২১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে হতাহতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বহু ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন অসংখ্য মানুষ। আর দেশটির চলমান গৃহযুদ্ধ উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত করছে। যে কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল আরও মৃতদেহ খুঁজে পাচ্ছে এবং মানবিক সহায়তার দলগুলো আহতদের চিকিৎসাসেবা এবং আশ্রয় দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে সাগাইং শহরে প্রতি তিনটি বাড়ির মধ্যে একটি ধ্বংস হয়ে গেছে। মান্দালয়ের বহু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে। এতে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে, রাস্তাঘাট ও সেতু ভেঙে যায় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে সেতু ধ্বংস হয়ে যায়। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক জায়গায় এখনও পৌঁছানো কঠিন। তাই উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস থেকে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) জারি করা এক প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে, ভূমিকম্প এবং আফটারশকের কারণে মিয়ানমারে ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করেছে, যার মধ্যে ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, সংস্থাটির মানবিক প্রধান টম ফ্লেচার এবং বিশেষ দূত জুলি বিশপ শুক্রবার মিয়ানমারে আসবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুসারে, ভূমিকম্পে মিয়ানমারে চারটি হাসপাতাল এবং একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরও ৩২টি হাসপাতাল এবং ১৮টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মানবিক সহায়তা স্বতস্ফুর্তভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সামরিক জান্তা ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *