Jaijaidin

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মূল কর্মসূচি শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লোকে লোকারণ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, গলা ফাটিয়ে শত শত মানুষ স্লোগান দিচ্ছেন ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’।

চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা। অনেকের হাতে রয়েছে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’- স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড।
ফেসবুকে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে একটি ইভেন্ট পেজ তৈরি করেছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ। এই পেজে সংগঠনটি পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে সোহরাওয়ার্দীতে প্রবেশের নির্দেশনা দিয়েছে।

বাংলামোটর থেকে রমনা গেট দিয়ে, কাকরাইল মোড় থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেট দিয়ে, জিরো পয়েন্ট থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে টিএসসি গেট দিয়ে, বকশিবাজার মোড় থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি গেট দিয়ে এবং নীলক্ষেত মোড় থেকে মিছিল উদ্যানে ঢুকবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শাহবাগ এলাকায় কোনো গাড়ি চলছে না। শাহবাগ ও আশপাশ দিয়ে হেঁটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছে মানুষ। টিএসসি এলাকা লোকে লোকারণ্য।

তাদের হাতে নানা প্ল্যাকার্ড রয়েছে।

গণজমায়েতে যোগ দিতে নেত্রকোনা থেকে ভোর চারটার দিকে রওনা দেন ডিসি জামে মসজিদের ইমাম মুফতি বোরহান উদ্দিন।টিএসসিতে তার সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মুসলিম এবং মানুষ হিসেবে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, আমাদের রাষ্ট্রেরও তেমনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজধানীর আইডিয়াল কলেজ ধানমন্ডির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কানিজ কায়সার নিশা বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতি সংহতি জানাতে এসেছি।

একজন মুসলিম হিসেবে এতে অংশগ্রহণ করার তাগিদে এসেছি।

সমাবেশে আসা মানুষ গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ উল্লেখ করে তা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো কূটনৈতিক অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *