যাযাদিপ্র রিপোর্ট
ভালোবাসা শুধু প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, ভালোবাসা হতে পারে মা-বাবার সঙ্গে, দাদা-দাদি, নানা-নানি, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক-ছাত্র, সন্তান, প্রকৃতি-পরিবেশ প্রাণীদের সঙ্গেও।
ভালোবাসার মানুষের দোষ-ত্রুটি বা মন্দ দিক বিবেচনা না করে ভালো দিকগুলোকে মনে করলেই ভালোবাসা আজীবন অটুট থাকে।
বৃহস্পতিবার যায়যায়দিন মিডিয়াপ্লেক্সে ‘স্বপ্ন সংগ্রামে ভালোবাসা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে হয় ভালোবাসা দিবসের আয়োজন। দিনভর তরুণ-তরুণীদের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে মিডিয়া ভবন। আলোচনা, কবিতা পাঠ, সঙ্গীত সন্ধ্যা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভালোবাসা দিবসের কেক কাটা ও ‘মৌচাকে ঢিল’-এর মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে রাত ৯টার পর শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা। সম্পাদক শফিক রেহমান ও তার স্ত্রী তালেয়া রেহমানের সঙ্গে অনেককে সেলফি তুলতে দেখা যায়। লাল গোলাপ দিয়েও শুভেচ্ছা জানান অনেকে।
শফিক রেহমান তার বক্তব্যের শুরুতে পহেলা ফাল্গুনের দিনে সবাইকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি জুলাই-আগস্টের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। শফিক রেহমান বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীরা জীবন দিয়ে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, না হলে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা পেতাম না। তিনি আহতদের পরিবারের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
শফিক রেহমান বলেন, বৃটিশ সরকার এ অঞ্চল দীর্ঘদিন শাসন করার ফলে আমাদের মধ্যে অন্য ভাষা ঢুকে গেছে। আমাদের বাংলাভাষাও উইলিয়াম কেরি করে দিয়েছেন, বাংলা গ্রামারও বিদেশিরা করে দিয়েছে। এদেশে পশ্চিমা সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রেই আছে।
তিনি বলেন, ভালোবাসা দিবস বিশ্বের সব দেশেই উদযাপন হয়। আমরা যদি অন্যান্য ভাষা গ্রহণ করি, তাহলে আমাদের বাংলাভাষা আরো সমৃদ্ধ হবে। তিনি আরো বলেন, পশু পশুকে হত্যা করে না, অথচ মানুষ মানুষকে হত্যা করে, আয়নাঘর তৈরি করে।
যায়যায়দিন মিডিয়াপ্লেক্স আবার সরগরম হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন ডেমক্রেসিওয়াচের নির্বাহী পরিচালক তালেয়া রেহমান। তিনি বলেন, যায়যায়দিনের ওপর বিভিন্ন সময় যে দুর্যোগ নেমে এসেছে, সেটা সবাই মিলে অতিক্রম করতে পেরেছি। কঠিন জীবনযাপন করতে শিখেছি। কীভাবে জীবন জয় করতে হয়, সেটাও শিখেছি। সব সময় শফিক রেহমানের পাশে থেকেছি এবং জীবনের শেষ সময়ও তাকে পাশে পেয়েছি। এটাই সত্যিকারের ভালোবাসা। একে অপরকে ভালোবাসুন, শ্রদ্ধা করুন। ভালোবাসার দিনে ভালোবাসার মানুষকে লাল গোলাপ উপহার দিন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সজীব ওনাসিস, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন রেজাউর রহমান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সায়ন্থ সাখাওয়াৎ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান।