Jaijaidin

ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

Shah Alam Soulav
2 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

 

কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী বন্দুক হামলার পর পাকিস্তানে প্রতিবেশী ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে সোমবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলার ঘটনার পর হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে। পাশাপাশি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জোরাল হয়েছে ভারতে।

কাশ্মিরে দশকের পর দশক ধরে স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাকিস্তান সমর্থন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। হিমালয় অঞ্চল লাগোয়া ব্যাপক বিতর্কিত এই ভূখণ্ড নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দু’টি অতীতে দুবার যুদ্ধ করেছে।

সোমবার ইসলামাবাদে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ এখন সামরিক আক্রমণ আসন্ন। সুতরাং এই ধরনের পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা সেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’’

তিনি বলেন, কাশ্মিরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হুমকি-ধামকি বাড়ছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভারতীয় হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেছে। ভারতের এই আক্রমণ আসন্ন বলে মন্তব্য করলেও এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য দেননি তিনি।

কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত ইতোমধ্যে দুই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে পাকিস্তানি বলে শনাক্ত করেছে। তবে ইসলামাবাদ এই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অস্তিত্বের জন্য প্রত্যক্ষ কোনও হুমকি তৈরি হলে কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের অস্ত্রাগার ব্যবহার করা হবে।

সূত্র: রয়টার্স।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *