Jaijaidin

বেতন ও ঈদ বোনাস বকেয়া রেখেই খুলল ভোরের কাগজ

Shah Alam Soulav
3 Min Read

যাযাদি ডেস্ক

অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নসহ কয়েকটি দাবিতে সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে গত ২০ জানুয়ারি অকস্মাৎ দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৬৬ দিন পর ২৭ মার্চ উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কথা বলে প্রধান কার্যালয় ফের খুলে দেয়া হয়। তবে আন্দোলনকারী ৪৫ জন কর্মীর তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদের বোনাস পরিশোধ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অন্যরা ঠিকই বেতন-বোনাস পেয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রেস কর্মী বলেন, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ আবারো আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ২৭ মার্চ দুপুরের মধ্যে তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেনি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি কিভাবে ঈদ করবো? গ্রামের বাড়ি যে যাবো সে উপায়ও নেই। বাড়িওয়ালা বলে দিয়েছেন, তিন মাসের বকেয়া ভাড়া না দিয়ে কোথাও যাওয়া যাবে না। যারা আমাদের এই দুর্দশায় ফেলেছেন তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।

নিউজ ডেস্কের আরেকজন কর্মী বলেন, আমাদের তিন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস বকেয়া রেখেই কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কথা বলে অফিস খুলে দিয়েছে। অথচ আমরা চরম দুরবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। ঈদের এই সময়ে সন্তানদের মুখের দিকে তাকাতেও পারছি না। আশা করবো ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে এই প্রতারণার বিষয়ে ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ভোরের কাগজের সাংবাদিক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের আন্দোলনের সঙ্গে মাঠে থাকবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
জানা গেছে, বেতন বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবিতে ১৯ জানুয়ারি বিকালে প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন শতাধিক সংবাদকর্মী। এর জেরেই পরদিন ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। দুদিন পর আন্দোলনে অংশ নেয়া ৪২ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। এরপরও তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।

নানা তালবাহানা পর গত ২৬ মার্চ একটা সমঝোতায় আসেন ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও এইচআর ভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সিদ্ধান্ত হয়- পরদিন ২৭ মার্চ ছাঁটাইকৃত ৪২ জন তাদের পুরো টার্মিনেশন বেনিফিট বুঝে পাবেন। আন্দোলনে থাকা বাকি ৪৫ জনের চাকরি অব্যাহত থাকবে এবং তারা ২৭ মার্চ দুপুরের মধ্যে তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পাবেন। কিন্তু কথা রাখেনি এইচআর ভবন। ছাঁটাইকৃত ৪২ জনকে পুরো টাকা দেয়া হয়নি। যে হিসাব দেখে তারা সমঝোতায় রাজি হয়েছিলেন, দেয়া হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম টাকা। অন্যদিকে ছাঁটাই না হওয়া ৪৫ জন কর্মী কোন টাকাই পাননি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *