বিশেষ প্রতিনিধি
প্রবীন রাজনীতিক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, ভোর ৬টার দিকে তিনি মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, ভোরে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কে অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্রুত তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত করে। দীর্ঘদিন ধরে আবদুল্লাহ আল নোমান বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। আবদুল্লাহ আল নোমান তার সহধর্মিনী, এক ছেলে এক মেয়ে রেখে গেছেন। এই প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক পৃথকভাবে শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফেরাত এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শোকবার্তায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সাংসদ ও দেশের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের সকল ক্রান্তিকালে জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশবাসীর নিকট অত্যন্ত সমাদৃত ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে বিশ্বাসী মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকাল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে একজন আপোষহীন যোদ্ধা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। জনসেবার মহান লক্ষ্য সামনে নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই সরকারের মন্ত্রী হয়ে নিজ এলাকাসহ সারাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রাখেন। ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের একজন অনন্য সংগঠক হিসেবে তাঁর অবদান জাতির নিকট চিরঅম্লান হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একাধারে প্রাজ্ঞ ও জনঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং সজ্জন ও বিনয়ী মানুষ হিসেবেও সর্বমহলে তাঁর ছিল অকৃত্রিম গ্রহণযোগ্যতা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে তাঁর লড়াই ছিল অবিস্মরণীয়। বর্তমান সময়ে তাঁর মতো আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি আবদুল্লাহ আল নোমান এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
অপর এক শোক বার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আজ ভোরে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান এর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিরাট শুণ্যতার সৃষ্টি হলো। তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া দেশ ও দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সান্ন্ধ্যি লাভ করেছিলেন। শহীদ জিয়ার জীবনাদর্শই ছিল মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান এর রাজনৈতিক জীবনের পথচলা। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি ছিলেন জনসম্পৃক্ত এবং নীতি ও আদর্শ থেকে তিনি কখনোই বিচ্যুৎ হননি। গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর ছিল অবিচল আস্থা। জনকল্যাণের মহান ব্রত নিয়ে তিনি রাজনীতি করতেন, আর এজন্যই তিনি দেশবাসীর নিকট ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়ভাজন। সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশ-জাতি-জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। মন্ত্রী থাকাকালে তাঁর ‘সামাজিক বনায়ণ’ কর্মসূচি ছিল দেশের পরিবেশ রক্ষায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি প্রশংসনীয় ভুমিকা পালন করেছিলেন। ‘৭১ এর স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তাঁর অবদন দেশের মানুষের নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিনয়ী, সদালাপী ও মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন সকলের নিকট একজন গ্রহণযোগ্য রাজনীতিবিদ। আমি আবদুল্লাহ আল নোমান এর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও এই প্রবীন নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমানের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা: দলের প্রবীন নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাদ আসর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার কফিন আনা হয়। প্রথমে কফিনটি কালো কাপড়ে আচ্ছাদিত স্থানে কফিনটি রাখার পর মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ বিএনপির পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন। পরে মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতৃবৃন্দ দলের পক্ষ থেকে কফিনে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান।
বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগর বিএনপি, শ্রমিক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দলের পক্ষ থেকেও পুস্পস্তবক অর্পন করা হয় মরহুমের কফিনে। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে মরহুম নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হয়। এর আগে নয়া পল্টনের সড়কে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিএনপির মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ছাড়াওেি বএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জহির উদ্দিন স্বপন, এম এ হালিম, শাহজাদা মিয়া, আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যিেঠভাকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, মাহবুবে রহমান শামীম, মীর হেলাল, ইশরাক হোসেন, বিএলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির(কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, ভাসানী অনুসারি পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাগপার আসাদুর রহমান আসাদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান ভোর ৬টায় নিজের ধানমন্ডির বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নেবার পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নয়া পল্টনে জানাজার আগে বেলা আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায় সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নয়া পল্টনে জানাজার আগে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় নেতা, আমাদের প্রিয় নেতা বিশেষ করে বীর চট্টলার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়, বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রিয় নেতা, আমাদের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আমাদের মাঝ থেকে আজকে সকাল ৬টায় চলে গেছেন। তিনি মৃত্যুর আগে চট্টগ্রামে আজকে যে সমাবেশ(বিএনপির সমাবেশ) হওয়ার কথা ছিলো সেই সমাবেশে যাওয়ার জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অর্থাৎ জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি দল ও পার্টির কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যিনি একাত্তর সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন, ছাত্র জীবনে ছাত্রদের জন্য কাজ করেছিলেন পরবর্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে তিনি দেশের পূনর্গঠনের কাজে নিয়োজিত হয়েছিলেন এবং বিএনপিকে একটি শক্তিশালী সংগঠনের পরিণত করছেন সেই নেতা আমাদের মাঝ থেকে চলে যাওয়াতে আমাদের যে অপুরণীয় ক্ষতি হলো সেটা খুব সহজে পুরণ হবার নয়। তার চলে যাওয়া নিসন্দেহে আমাদের জন্যে অত্যন্ত শোকাবহ। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, ‘‘ আমি বিএনপির পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তালা তাকে যেন বেহস্ত নসিব করেন। অনুষ্ঠানে প্রয়াত নেতার ছেলে সাঈদ আল নোমান তার বাবার আত্মার প্রশান্তি চেয়ে দলের নেতা-কর্মীদের কাছে দোয়া চান। জানাজার আগে জাতীয় পার্টির(কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার কণ্যা বুধবার দেশে ফিরলে শুক্রবার চট্টগ্রামে রাউজানের নিজের গ্রামের বাড়ি গহিরায় পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হবে।
আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। ধানমন্ডির বাসায় নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ নেতারা তার বাসায় যান।
বাম ঘরনার রাজনীতি থেকে আসা আবদুল্লাহ আল নোমান ৯০ দশকে বিএনপিতে যোগ দেন। প্রখ্যািত শ্রমিক নেতা তার রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন শ্রমজীবীদের জীবন-জীবিকার সংগ্রামে। বিএনপির রাজনীতিতে পথ চলায় তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি দলের যুগ্ম মহাসচিব হন। এরপর আমৃত্য তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন সক্রিয়।
১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম- ৯ আসন এবং ২০০১ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার দুই সরকারের আমলে মন্ত্রিসভার সদস্য হয়ে মৎস্য ও পশু সম্পদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, বন ও পরিবেশ এবং খাদ্য মন্ত্রণায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে তিনি চার দলীয় জোট সরকারের খাদ্য মন্ত্রী ছিলেন। একাত্তর সালে মুক্তিুযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহন করেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
ছাত্র জীবনেও আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন রাজনীতিতে সক্রিয়। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আবদুল্লাহ আল নোমানের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। ছাত্রজীবন শেষে তিনি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন তিনি।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আবদুল্লাহ আল নোমান সরাসারি যুক্ত ছিলেন। যুদ্ধ শেষে ন্যাপের রাজনীতিতে তার পথ চলা। এরপর ১৯৮১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক জিয়্উার রহমানের প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দেন আবদুল্লাহ আল নোমান।