যাযাদি রিপোর্ট
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরাইলি বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদ এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে প্রতিবাদ ও সংহতি র্যালিতে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন ।
ইসরাইলি বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদ এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ ও সংহতি আন্দোলন করেছে বিএনপি। এতে লাখো মানুষের ঢল নামে। র্যালি-পূর্ব সমাবেশে বিএনপি নেতারা ফিলিসি্তনে গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিমবিশ্বের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।এ সময় নেতারা ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার দলের অঙ্গীকারের কথা দৃপ্তকণ্ঠে ব্যক্ত করেন।
বিএনপির এ কর্মসূচি বিকাল ৪টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর থেকেই নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। সাধারণ মানুষেরও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফিলিসি্তনের পতাকা ও কালো ব্যানার নিয়ে নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয় নয়াপল্টন এলাকা। র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শানি্তনগর, মালিবাগ, মগবাজার, বাংলামোটর হয়ে কাওরান বাজারের সোনারগাঁও হোটেলের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
তবে পুরো সড়কে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেওয়ায় সোনারগাঁও হোটেলের মোড়ে র্যালির সম্মুখভাগ পৌঁছালেও তখনো শেষভাগ ছিল নয়াপল্টনেই। পথজুড়েই ছিল প্রতিবাদী স্লোগান। বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিসি্তন-ফিলিসি্তন’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘ফিলিসি্তন ফিলিসি্তন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘ফিলিসি্তনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। বিএনপির নেতারা জানান, এ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি জনগণ ফিলিসি্তনের পাশে আছে।
বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ ও সংহতি কর্মসূচি বিকাল ৪টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষপ্তি সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। শুরুতে গাজায় ইসরাইলি নৃশংসতায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া এবং আহতদের আশু সুস্থতায় বিশেষ দোয়া করা হয়।