যাযাদিপ্র রিপোর্ট
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপনের ৩৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে যায়যায়দিন ও ইস্টিশন কমিউনিকেশনসের আয়োজনে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি বিশেষ প্রেস কনফারেন্স। এখানে ঘোষণা করা হয়, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শেরাটন হোটেলের আলফ্রেস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে ‘ভালোবাসা পদক-২০২৫’ প্রদান অনুষ্ঠান।
এতে প্রতিবছর দেশ-মানব-প্রাণ এবং প্রকৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘ভালোবাসা পদক’ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি থাকবে আজীবন সম্মাননা ও বিশেষ সম্মাননা। স্টার ক্যাটাগরিতে সমাজে উদাহরণ সৃষ্টিকারী তারকাদেরও এই পদকে ভূষিত করা হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি উদ্যোগ।
প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক ও বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তক শফিক রেহমান ও তার সহধর্মিণী এবং ডেমোক্রেসি ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক তালেয়া রেহমান, ইস্টিশন কমিউনিকেশনসের সিইও এবং ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক রুদ্র হক, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও মুভি নির্মাতা মাহমুদ দিদার, শেরাটন হোটেলের সিইও মো. শাখাওয়াত হোসেন, ঐতিহ্য প্রকাশনীর কর্ণধার আরিফুর রহমান নাইম ও যায়যায়দিনের যুগ্ম সম্পাদক সজীব ওনাসিস।
ভালোবাসা পদক প্রবর্তন প্রসঙ্গে এই আয়োজনের উদ্যোক্তা রুদ্র হক বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস একটি সর্বজনীন উৎসবে রূপ পেয়েছে। ভালোবাসা শুধু নর-নারীর সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ কোনো বিষয় নয়, এটি বাবা-মা, ভাইবোনসহ প্রতিটি সম্পর্ক, এমনকি মানব-প্রাণ প্রকৃতির সর্বত্র বিরাজমান। ভালোবাসার এই বহুমাত্রিকতাকেই ভালোবাসা পদক ধারণ করতে চায়।’
অনুষ্ঠানে বরেণ্য সাংবাদিক শফিক রেহমান বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস প্রচলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। স্মৃতিচারণে উঠে আসে ১৯৯৩ সালে যায়যায়দিন পত্রিকার ঐতিহাসিক ‘ভালোবাসা সংখ্যা’র কথা।
তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস যে এত ব্যাপকতা পাবে, সেটা ভেবে আমি কিছু করিনি। আপন মনের খেয়ালে কাজ করে গেছি। এখন সেটা যে সারা দেশে সর্বজনীনভাবে পালিত হয়, তা দেখে আমি অসম্ভব আপ্লুুত।’ ভালোবাসা পদক প্রবর্তনের এই উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, উদ্যোগটি সফল ও অর্থবহ কিছু হতে যাচ্ছে।
তালেয়া রেহমান উদ্যোগটিকে অনন্য আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘পৃথিবীতে ভালোবাসা পদক বলে কিছু নেই। এ ক্ষেত্রেও আমরা নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছি।’ আরিফুর রহমান নাইম এই উদ্যোগকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিহিত করে বলেন, শফিক রেহমানের সম্পাদনায় যায়যায়দিন এ দেশে সাংবাদিকতায় নতুনত্ব এনেছে।
শফিক রেহমান প্রতিবছর ভালোবাসা পদক প্রদান অনুষ্ঠানের দায়িত্ব অর্পণ করেন ইস্টিশন কমিউনিকেশনসকে। এ ছাড়া এই প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, এখন থেকে শফিক রেহমানের সব বই ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আগত সবাইকে গোলাপ ফুল উপহার দেন শফিক রেহমান। কেক কেটে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপনের ৩৩ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন শ্রাবণ্য তৌহিদা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যায়যায়দিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসানুর রহমান, যায়যায়দিনের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান, মিডিয়া-ব্যক্তিত্ব জাহিদ মাহমুদ সোহেল প্রমুখ।