জবি প্রতিনিধি
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা সবসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পারস্পরিক এবং খুব কাছাকাছি ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন সংগ্রাম কখনো ভুলে যাই না। যখন কোন সংকটে আসে তখন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনেও জবি ছাত্রদলের ভুমিকা অপরিসীম।’
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, ‘ ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অতিবিলম্বে বিচার দাবি করছি। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতিবিলম্বে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে সেই প্রত্যাশা রাখছি।’
জবি ছাত্রদলের গুম হয়ে যাওয়া নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলের সংগ্রামী সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান রানা, রাসেল, আল-আমিন সহ যাদের গুম করা হয়েছে তাদের সন্ধান দাবি করছি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গত ১৫ বছর ধরে আমরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মী সমান অংশীদ্বার হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিটি ইউনিটের প্রতিটি ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নেতাকর্মীদের সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। এখানে কোন ধরনের কোন বৈষম্য অতিথিতেও ছিলো না ভবিষ্যতেও থাকবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিটি সংগ্রামে যে অংশীদারিত্ব দেখিয়েছে ভবিষ্যতেও আমরা তাদের পাশে পাবো বলে আশা রাখছি।’
জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেলের সভাপতিত্বে সঞ্চালনায় ছিলেন শামসুল আরেফিন, সদস্য সচিব জবি ছাত্রদল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল, প্রধান বক্তা মো: রকিবুল ইসলাম রাকিব, সভাপতি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, বিশেষ অতিথি নাছির উদ্দীন নাছির সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
ইফতার মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুম, আহত ছাত্রনেতাদের সুস্থতা, জুলাই আন্দোলনে নিহত একরামুল হাসান সাজিদের পরিবারের ইদ সামগ্রী ও শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় করা হয়।