Jaijaidin

ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের হেনস্তার ঘটনার তদন্ত শুরু

Shah Alam Soulav
3 Min Read

যাযাদিপ্র রিপোর্ট

অর্ন্তবর্তী সরকারের সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কতিপয় কর্মকর্তাকে হেনস্তা করার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিএনসিসি ও বিএনপি। বাসা বাড়ির ময়লা অপসারণের কাজ না পাওয়ার সূত্রধরে হেনস্তা করার ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার সময় হেনস্তাকারীরা নিজেদের বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মী বলে দাবি করেছিলেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল ডিএনসিসির মুল গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকেন। এ সময় দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে, তারা নিজেদের স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে দাবি করেন। তারা ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ঠিকাদারদের বাসা বাড়ির ময়লা অপসারণের কাজ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন। এরই জের ধরে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে তারা ডিএনসিসির কয়েক জন কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হেনস্তা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে, নগর ভবনে প্রবেশের সময় সামনের সারিতে ছিলেন গুলশান থানা যুবদলের আহ্বায়ক ও ঠিকাদার এসএম মামুন, বিএনপির গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন মামুন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহজাহান কবীর মন্টু ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি নূর হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা।

বিষয়টি সর্ম্পকে ডিএনসিসি নগর ভবনের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক হেদায়েতুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন গুলশান নগর ভবনে ঢুকে এক দল লোক কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হেনস্তা করেন। নগর ভবনের অনেকেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। প্রবেশ ও বের হয়ে যাওয়ার সময়ও হেনস্তাকারীরা নিজেদের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা ও ঠিকাদার মামুনুর রহমানের দাবি, তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।

যদিও দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর ডিএনসিসির সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজে ঠিকাদার মামুনুর রহমানসহ অন্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। কি কারণে এবং কিভাবে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি ডিএনসিসি তদন্ত করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান জানান, দলের নেতাকর্মীরা কোনভাবেই বেআইনী কাজ করতে পারবেন না। করলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এ ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী দাবিকারীরা প্রকৃতপক্ষেই দলের নেতাকর্মী কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *