যাযাদি ডেস্ক
কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। কেউ আবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে রাজধানীর বাইরে থেকেও এসেছেন কেউ কেউ। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখি দেখছেন তারা। এভাবে ছুটির দিন কাটাচ্ছেন রাজধানীর মিরপুরে চিড়িয়াখানায় আসা হাজারো দর্শনার্থী।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেলো, দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে ঈদের ছুটি। ঈদ বা উৎসবের ছুটিতে যেমন লোকারণ্য থাকে, তেমনটি না থাকলে শুক্রবার দুপুরের পর বিনোদনকেন্দ্রটিতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
পাল্লা দিয়ে বাড়ে চিড়িয়াখানাে গেটের সামনে শত শত হকারদের বিক্রি-বাট্টা। দেখা যায়, কেউ লেবুর জুস বিক্রি করছেন, কেউ বাদাম, বেলুন, খেলনা, আচার বিক্রি করছেন।
হকারদের পাশাপাশি চিড়িয়াখানার গেটের সামনে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জটও লেগে থাকে। বানর, বাঘ, সিংহ, হরিণ, জিরাফের খাঁচার সামনে শিশু ও অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে।
চিড়িয়াখানার বিভিন্ন খাঁচায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী, পাখি ও সাপ সংরক্ষণ করা আছে। সে সব খাঁচা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা।
কথা হয় গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে আসা কাজী মামুনের সঙ্গে। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। মামুন গাজীপুরের একটি কারখানায় কাজ করেন।
মামুন জানান, ছুটির দিন হওয়ায় অফিসের সহকর্মীরা মাইক্রোবাস ভাড়া করে চিড়িয়াখানায় এসেছেন।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে ছিলাম। ছুটি শেষে কাজে যখন ফিরি তখন সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। আজ দুটি মাইক্রোবাসে আমরা ৬ জন পরিবারসহ এসেছি। বাচ্চারা বাঘ-ভাল্লুক দেখেছে। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করছি। আনন্দে সময় কেটে যাচ্ছে, যোগ করেন তিনি।
৫ বন্ধু নিয়ে এসেছেন মোতালেব আমিন। টিকিট কাটার সময় এই তরুণ বলেন, মূলত বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেড়ানোর জন্যই এসেছি। সবাইকে এক সঙ্গে পাওয়া যায় না। আজ পেয়েছি, তাই হুট করে চলে এসেছি।
১২৩ একরের বেশি জায়গাজুড়ে চিড়িয়াখানার অবস্থান। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পরে বানরের খাঁচা। সামনে পাখির খাঁচা। বক, কালিম পাখি, গ্রেটার ফ্লেমিঙ্গো, পেলিকানসহ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশত পাখি রয়েছে খাঁচায়। সেখান থেকে বাঁ দিকে এগোলেই বাঘ-সিংহের খাঁচা।