চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে একসঙ্গে ৫ সন্তান জন্ম দিয়েছেন ফেনীর নাহিদা আকতার রিক্তা। সন্তানদের দুইজন ছেলে ও তিনজন মেয়ে। তবে এদের মধ্যে এক শিশুর শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও চার শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন।
রবিবার (২৭ এপৃল) দুপুরে এ তথ্য জানান শিশুগুলোর জন্মদাতা পিতা প্রবাসি আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, গত বৃহ¯পতিবার দুপুরে আমার স্ত্রী নাহিদা আকতার রিক্তাকে চমেক হাসপাতালের ৩২নং ওয়ার্ডে ভর্তি করায় আমার স্বজনরা। এর কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একে একে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান প্রসব করে।
এর মধ্যে খবর পেয়ে আমি সুদূর আরব আমিরাতের দুবাই থেকে চলে আসি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, আমার ৫ শিশুর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকরা আমাকে একেক সময় একেক রকম তথ্য দিচ্ছেন। এতে আমি কিছুটা চিন্তিত।
ফেনীর ছাগলনাইয়ার ১০ নম্বর গোপাল ইউনিয়নের মজলিস বাড়ির বাসিন্দা আশরাফুল আলম তার সন্তানদের সুচিকিৎসার পাশাপাশি সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
শিশুদের খালা জানান, প্রথম তার বোনকে ফেনী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে ৫ শিশু জন্ম দেন তার বোন। তবে বর্তমানে তিন মেয়ে ও এক ছেলে শিশুর অবস্থা ভালো না।
তিনি জানান, আশরাফুল আলম দম্পতির ৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। ৫ বছর পর একসাথে ৫টি শিশু সন্তানের জন্মের খবর শুনেও তেমন স্বস্তিতে নেই কেউ। তবে চিকিৎসকরা শিশুদের যথেষ্ট যত্ন নিচ্ছেন। সন্তানেরা যেন ভালো চিকিৎসা পায়, সেই প্রত্যাশা করছি।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক রোকসানা বেগম বলেন, পাঁচটি শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা ভালো না। শুধুমাত্র একজন শিশুর ওজন হয়েছে এক কেজি ৫০ গ্রাম। বাকি সবাই এক কেজির নিচে।
এর আগে ২০২২ সালে ফেনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তান জন্ম দেন ফেনীর গৃহবধূ ফারজানা আক্তার (২৪)। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। তাঁর স্বামী খাগড়াছড়ির রামগড় শহরের একজন মুদিদোকানি। পরে একে একে চার সন্তানের মৃত্যু ঘটে।