Jaijaidin

ওসমানীনগরে গ্রামীণ জনপদে হেটে বেড়াচ্ছেন দুই ইতালীয়ান নাগরিক

Shah Alam Soulav
2 Min Read

হারুন রশিদ, ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি

সিলেটের ওসমানীনগরে গ্রামীণ জনপদে হেটে বেড়াচ্ছেন দুই ইতালীয়ান নাগরিক সান্তরো জুসো পেপে ও রুমানো মিগেলে।

বাংলাদেশে আসায় প্রাকৃতিক সূন্দর্য্য ও বাংলার মানুষদের কাছে পেয়েও তারা আনন্দিত। ইতালী প্রবাসী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আকমল হাসান চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সূন্দর্য্য উপভোগ করতে আসেন তারা। ওসমানীনগর উপজেলার ইতালী প্রবাসী আকমল হাসান চৌধুরীর, ইতিলীয়ান নাগরিক সান্তরো জুসো পেপে ও রুমানো মিগেলে শনিবার একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল ওসমানী বিমান বন্দরে পৌছান। দুই দিন দেশের রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তারা। পরে সোমবার সকালে অভ্যন্তরিন ফ্লাইটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসলে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আকমল হাসান চৌধুরীর বড় বোন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসলিমা আক্তার চৌধুরী সহ তার পরিবারের সদস্যরা।

বিকালে ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নরে হলিমপুর গ্রামে আকমল হাসান চৌধুরীর আসলে ইতালীয়ান নাগরিকদের এক পলক দেখতে সেখানে ভিড় করনে এলাকার সাধারণ মানুষ। এসময় গ্রামের মানুষদের সাথে কথা বলেন সান্তরো জুসো পেপে ও রুমানো মিগেলে। তারা গ্রামীন জনপদ ঘুরে দেখেন।
সান্তরো জুসো পেপে ও রুমানো মিগেলে বলেন, বাংলাদেশ এবং ইতালীর মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তারা বাংলাদেশে আসতে পেরে আনন্দিত। এটিই তাদের প্রথম বাংলাদেশ সফর। ইতালীতে বাংলাদেশী প্রবাসী আকমল হাসানের কাছে সুনাম শোনেই তারা দেশের আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সুযোগ পেলে বার-বার বাংলাদেশে আসার কথা ব্যক্ত করেন তারা।

ইতালী প্রবাসী আকমল হাসান চৌধুরী বলেন, মা, মাঠি ও নাড়ীর টানে প্রবাসীদের দেশে আসতে হয়। বাংলাদেশেী প্রবাসীরা বিশ্বের যে কোন দেশে থাকলেও তাদের মন থাকে দেশে। বিদেশের মাটিতে বসেও দেশের সুনাম করতে ভূলেন না প্রবাসীরা। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়তই কথা হতো সান্তরো জুসো পেপে ও রুমানো মিগেলের সাথে। একটা সময় তারা বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আগ্রহ দেখেই সাথে করেই দেশে নিয়ে আসি তাদের। অল্প দিনের জন্য দেশে আসা।

ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুসলিমা আক্তার চৌধুরী বলেন, আমাদের বাড়িতে এসেই তারা অনেকটাই উৎফুল্ল। অল্প সময়ে গ্রামের অনেকের সাথেই মিশে গেছেন। পবিত্র মাহে রামাদ্বানে একসাথে ইফতার করেছেন। দেশের সংস্কৃতি, পর্যটন, ঐতিহ্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। সময় পেলে দেশের দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াবেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *